চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারের দাবি স্থানীয়দের।
চট্টগ্রামের নুরুজ্জামান রিপন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয়রা জানান, তার কর্মকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বলেউ জানান ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু হয় ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মুরাদপুর এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সির দালালি করার মাধ্যমে। ওই সময় বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রিপনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে এলাকায় সালিশ দরবার বসে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে মুরাদপুর থেকে বের করে দেয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।অভিযোগ রয়েছে, এরপর তিনি কালুঘাট মোহরায় অবস্থান নেন এবং কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে আবার ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি, বালুর মহাল নিয়ন্ত্রণ, সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারি কাজে তদবির ও সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের ভাষ্য, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তার নামে-বেনামে একাধিক জায়গা, প্লট ও সম্পত্তি রয়েছে।রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সূত্রের দাবি, তিনি নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ পাওয়ার জন্য মেয়রের প্রত্যয়নপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছিলেন। সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোর্শেদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথাও স্থানীয়রা উল্লেখ করেন। ৫ আগস্টের পর দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এলেও নুরুজ্জামান রিপন এলাকায় বহাল তবিয়তে চলাফেরা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বর্তমানে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি দাবি করেন, এমন অভিযোগের মুখে থাকা একজন ব্যক্তি নির্ভয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করলে জননিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। তারা দ্রুত প্রশাসনের নজরদারি ও আইনগত পদক্ষেপের জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply